ভারত সরকার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে ‘বন্দে ভারত মিশন’ নামক বৃহত্তম প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করেছে।
এই ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা চাকরি,পড়াশোনা/ইন্টার্নশীপ,পর্যটন, ব্যবসা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে লকডাউনের আগে বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন। এছাড়াও রয়েছেন অন্যান্য ভারতীয় নাগরিক যাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে ভারত সফর অনিবার্য।
এর মধ্যে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের আজ শুক্রবার থেকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সাতটি ফ্লাইট ভারতীয় নাগরিকদের শ্রীনগর (৮, ১২ ও ১৩ মে), দিল্লী (৯ ও ১১ মে), মুম্বাই (১০ মে) এবং চেন্নাই (১৪ মে) নিয়ে যাবে। প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ১৭০ জন যাত্রী বহন করা হবে।
প্রথম ফ্লাইটে ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রীনগরে ফিরিয়ে নেয়া হবে। হাই কমিশন এই শিক্ষার্থীদের সাথে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এই কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ উদারতার সাথে পাশে থাকা মেডিকেল কলেজসমূহের অধ্যক্ষদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় খাদ্য, বাসস্থান, অর্থ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সমাধান করেছে।
হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের প্রথম দলটিকে বিদায় জানান এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে হাই কমিশনার বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের কল্যাণে ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তরুণ শিক্ষার্থীরা ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারায় হাই কমিশনার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ভারতে পৌঁছানোর পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য হাই কমিশনকে ধন্যবাদ জানায়।
বন্দে ভারত মিশন বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি বৃহত্তর কার্যক্রম যাতে ছিল সমন্বিত প্রচেষ্টা, সুচিন্তিত পরিকল্পনা, জটিল সমন্বয় ও বাস্তবায়ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেশিরভাগ রাজ্যের নোডাল অফিসারদের নিয়োগ দিয়েছে